আমাদের সালাত বা নামাজ সম্পর্কে কিছু বক্তব্য (পর্ব-৩)

 নূরুল ইসলাম বরিন্দী ।। র্পূব প্রকাশের পর…

যেভাবে পড়লে নামাজ বিশুদ্ধ হবে:

* প্রথম রাকাত ছাড়া পরবর্তী কোনো রাকাতে সানা বা আউজুবিল্লাহ পড়তে হয় না। তবে প্রতি রাকাতেই সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরার শুরুতে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” পড়া সুন্নাত। বাকি সব নিয়ম-কানুন প্রথম রাকাতের মতোই। তবে প্রথম রাকাতের তুলনায় দ্বিতীয় রাকাতের কিরাত ছোট করা ভালো।

* দ্বিতীয় রাকাতের সিজদা শেষে “আল্লাহু আকবার” বলে উঠে বসবেন। বসার নিয়ম হলো বাম পা বিছিয়ে তার ওপর বসবেন এবং ডান পা খাড়া করে আঙ্গুলগুলো কিবলামুখি রাখবেন। বসা অবস্থায় দুই হাত দুই উরুর ওপর স্থাপন করে আঙ্গুলগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে হবে। এরপর তাশাহহুদ পড়বেন “আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালা ওয়াতু ওয়াত্তায়্যিবাতু আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ্” (সমস্ত অভিবাদন, সালাত ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার প্রতি শান্তি ও আল্লাহর অনুগ্রহ এবং বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের ওপর এবং আল্লাহর সৎ বান্দাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ উপাস্য নাই, আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা এবং রাসুল)।

* আবার ৩ রাকাতবিশিষ্ট নামাজ হলে তাশাহ্হুদ পড়ার শেষে বাকি রাকাত আগের মতো পড়ে বৈঠকে বসে পুনরায় তাশাহ্হুদ, সেই সাথে দরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়তে হবে। আর ৪ রাকাতবিশিষ্ট হলে শেষ বৈঠকে পুনরায় তাশাহ্হুদ পাঠের পর দরুদটি পড়বেন, যাকে দরুদে ইবরাহিম বলা হয়ে থাকে। দরুদ “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিম ওয়া আলা আলি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিঁও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইবরাহিম ওয়া আলা আলি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ” (হে আল্লাহ, আপনি মুহাম্মদ(সাঃ) এবং তাঁর বংশধরের ওপর রহমত বর্ষণ করুন, যেমন রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহিম (আঃ) ও তাঁর বংশধরের ওপর, অবশ্যই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ, আপনি মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তাঁর বংশধরের ওপর বরকত নাজিল করুন যেমনটি নাজিল করেছেন ইবরাহিম (আঃ) এবং তাঁর বংশধরের ওপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত)।

* অতঃপর পড়বেন দোয়া মাসুরা “ আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি জুলমান কাসিরাঁও ওয়ালা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহিম” (হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আমার নিজের ওপর অনেক জুলুম করেছি আর আপনি ছাড়া ওই পাপসমূহ ক্ষমাকারী কেউ নাই। অতএব আপনি পরিপূর্ণভাবে আমাকে মাফ করে দিন এবং আমার প্রতি দয়া করুন। অবশ্যই আপনি ক্ষমাশীল এবং দয়াময়)।
উল্লেখ্য, দরুদ এবং দোয়া মাসুরা বেশ আরো কয়েকটি রয়েছে। তবে ওপরে উদ্ধৃত দরুদ-মাসুরাই মাসনুন বা বহুল প্রচলিত।

* অতঃপর “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্”( আপনাদের ওপর আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক) বলে ডানে-বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন। অবশ্য ডানদিকে সালাম ফিরানোর সময় ডান কাঁধে এবং বামদিকে সালাম ফিরানোর সময় বাম কাঁধে দৃষ্টি রাখবেন, আর ডানদিকে সালাম ফিরানোর সময় ডানদিকের মুসুল্লি এবং ফেরেস্তাদেরকে, বামদিকে ফিরানোর সময় বামদিকের মুসুল্লি ও ফেরেস্তাদেরকে মনে মনে সালাম দেওয়ার নিয়ত করবেন। এরপর ৩ বার আস্তাগফরিুল্লাহ ও ১ বার “আল্লাহুম্মা আন্তাস সালামু ওয়া মনিকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া জলিজালালি ওয়াল ইকরাম”– পড়ে কছিু তাছবহি-তাহললি পড়া উত্তম ।

উল্লখ্যে, নারী এবং পুরুষরে নামাজরে মধ্যে কোনো র্পাথক্য নইে। তবে নামাজরে আমলরে মূল কাঠামো ঠকি রখেে নারীদরে বলোয় কছিুটা শর‍য়ী বধিবিধান রয়ছে। যেমনঃ নারীরা শুধু মুখমন্ডল ও দুই হাত ছাড়া আপাদমস্তক ঢকেে নামাজে দাঁড়াব। শুধু নারীদরে জামাত হলে আজান দওেয়া যাবে না, তবে ইকামত দতিে পারবে। পুরুষদরে জামাতে অংশগ্রহণ করলে ময়েদেরে দাঁড়াতে হবে সবার পছিন। ইমামরে ভুল হলে মহলিা মোক্তাদিরা শুধু হাততালি দিতে পারবে। মুখে সুবহানাল্লাহ উচ্চারণ করতে পারবে না ইত্যাদি । রাসুল (সাঃ) এর যুগে পুরুষদরে জামাতে নারীরাও শরকি হতো বলে একাধকি হাদসি রয়ছেে । (লেখাটি ধারাবাহিকভাবে চলবে……)

নূরুল ইসলাম বরিন্দী, Email: nibarindi@gmail.com

Leave a Reply