স্টাফ রিপোর্টার:
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, সুমিষ্ট হাঁড়িভাঙা আম দেখলেই মন ভরে যায়, মায়া লাগে। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে আজকের মেলা সফল হয়েছে। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে হাঁড়িভাঙা আম মেলা ও প্রদর্শনী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন জাতের অনেক আম থাকলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের উপহার হিসেবে হাঁড়িভাঙা আম পাঠান। তিনি কৃষকের জন্য খুবই আন্তরিক। হাঁড়িভাঙা আম দীর্ঘসময় ধরে বাজারজাত করার জন্য একটি বিশেষ হিমাগার করা হবে।
জিআই পণ্য হিসেবে হাঁড়িভাঙা আমকে স্বীকৃতি দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের সাংসদ ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জাকির হোসেন সরকার বলেন, কৃষি সম্বৃদ্ধ এলাকা মিঠাপুকুর। কৃষকের উৎপাদিত হাঁড়িভাঙা আম দেশেবিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। কৃষকদের সুবিধার্থে আম রক্ষনাবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষ হিমাগার এবং গবেষণাগারের দাবি জানান তিনি।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউঢের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ মাসুদ করিম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর বিভাগের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল বাতেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল প্রমূখ।
রংপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত হাঁড়িভাঙা আমের মেলাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করে। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই মেলা প্রাঙ্গন ভরপুর হয়ে উঠে। মেলায় বিভিন্ন স্টলে হাঁড়িভাঙা আমসহ বিভিন্ন আম এবং আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আজ (শুক্রবার) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে পাওয়া যাবে হাঁড়িভাঙা আম। এর আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন আমন্ত্রিত শিল্পীরা।
এম২৪নিউজ/আখতার