স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার চিথলী পশ্চিম পাড়া গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে মনববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সচেতন মহল। বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা চত্বরে গিয়ে বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে ধর্ষকের ফাঁসির দাবি করে তারা।
ঘটনার পর থেকেই ধর্ষককে গ্রেফতার এবং ফাঁসির দাবিতে উত্তাল ছিল মিঠাপুকুর। ঘটনার পর অভিযুক্ত শাহ আলম বোরকা পরে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে, তাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় জনতা।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড় হযরতপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওই শিশুটির বাড়ি। শিশুটি স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সকালে শিশুটি প্রতিদিনের ন্যায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিলো। এসময় শিশুটি উপজেলার চিথলী পশ্চিম পাড়ায় আসা মাত্র ওঁৎ পেতে থাকা ওই গ্রামের দুই সন্তানের জনক শাহআলম (৪০) শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাস্তার পাশে একটি ভুট্টাক্ষতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা শিশুটির কাঁন্না শুনতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়। ধর্ষক পালিয়ে যায়। রাত নয়টার দিকে ধর্ষক শাহআলম বোরকা পড়ে পালানোর সময় চিথলি রামপুরা এলাকায় তাকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দেয় স্থানীয়রা। পরে চিথলী রামপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আলম এলাকায় বখাটে ছেলে হিসেবে পরিচিত।ইতিপূর্বেও বিভিন্ন সময় মেয়েদেরকে উত্ত্যক্ত করতো। আমরা তার ফাঁসি চাই।
এদিকে, ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে ওইদিন রাত ১০টার দিকে মিঠাপুকুর ফ্লাইওভারের নিচে বিক্ষোভ মিছিল করে থানার সামনে অবস্থান নেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে মিঠাপুকুর থানা চত্বর। স্লোগানে ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড দাবি সহ দেশব্যাপী ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এম২৪নিউজ/আখতার