মিঠাপুকুরে ক্ষতিপূরণ বেশি লাভের আশায় মহাসড়কের দুই ধারে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার (মিঠাপুকুর):

ক্ষতিপূরণ বেশি লাভের আশায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের দুই ধারে অধিগ্রহন করা জমির ওপর অবৈধভাবে ঘর-বাড়িসহ স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে মিঠাপুকুর এবং রংপুর সদরের সীমান্তবর্তী দমদমা ব্রীজের দুই পাশে দোকান-পাট এবং বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের দৃশ্য দেখা গেছে।

মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া আইনের খসড়ায় ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহন ও হুকুমদখল আইন,২০১৭’ এ বলা হয়েছে, অনিবার্য প্রয়োজনে সরকার কোনো জমি অধিগ্রহন করলে ওই এলাকার জমির ১২ মাসের গড় মূল্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ২০০ ভাগ ক্ষতিপূরণ পাবেন জমির মালিক। আর জমি অধিগ্রহন করে কোনো বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হলে ক্ষতিপূরণের অর্থ হবে আরো বেশি- জমির গড় মূল্যের ৩০০ ভাগ। অর্থাৎ, সরকার নিজের প্রয়োজনে ১০০ টাকা মূল্যের জমি অধিগ্রহন করলে জমির মালিক ৩০০ টাকা এবং বেসরকারী প্রয়োজনে অধিগ্রহন করলে ৪০০ টাকা পাবেন। এই আইনের ফলে অধিগ্রহন করা জমির ওপর বাড়তি টাকার লোভে ঘরবাড়ি বা অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে তা নিজ খরচে অপসারণ করতে হবে জমির মালিককে। এবং মালিক কোন ক্ষতিপূরণ পাবেন না।

প্রস্তাবিত চারলেন প্রকল্পের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মিঠাপুকুর এবং রংপুর সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী দমদমা ব্রীজের দুই পাশে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কিছু অসাধূ ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এর মধ্যে আতোয়ার রহমান, সেকেন্দার আলী, বাসেদ আলী, সবুজ মিয়া, মজনুর বিল্ডিং, জাবেদ হাজীসহ আরো অসংখ্য অসাধূ ব্যক্তি বেশি লাখের আশায় দোকান-পাট এবং বড় বড় স্থাপনা নির্মাণ করছেন। যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। ওই ব্যক্তিদের অতিরিক্ত অর্থ না দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের পরামর্শে নতুন করে ঘরবাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। এসব স্থাপনার ক্ষতিপূরণের টাকা জমির মালিক ও সওজের কর্মকর্তারা আধাআধি ভাগ করে নেবেন। ঘরবাড়ি নির্মাণ করা আতাউর রহমান, সেকেন্দার আলী সওজে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। অভিযুক্তদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আরো পড়ুন: জরিমানা নয়, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোই মূল লক্ষ্য : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

এ ব্যাপারে রংপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শফিকুজ্জামান বলেন, সওজের যে দুজনের বিরুদ্ধে অধিগ্রহন করা জমির ওপর অবকাঠামো নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে, তা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সাসেক এর প্রকল্পের ম্যানেজার মাসুদ রানা বলেন, দমদমা ব্রীজের আশপাশের এলাকায় অবৈধস্থাপনা নির্মাণকারীদের ব্যাপারে খুব দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তারা কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ পাবেন না এবং নিজেদেরকেই স্থাপনা ভাঙতে হবে।