মিঠাপুকুরে গো খাদ্যে হিসেবে নেপিয়ার পাকচং ঘাসের চাহিদা বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

গো খাদ্যের সস্কট, কম খরচে বেশি লাভ ও গবাদিপশুর প্রধান খাদ্য হিসেবে ঘাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে নেপিয়ার পাকচং ঘাস চাষে ঝুঁকছে কৃষকেরা।

ঘাস এখন সবুজে পরিনত হয়েছে। অন্যদিকে ঘাস চাষ করে নিজের গবাদিপশুর খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে তা বিক্রি করে বার্ড়তি আয় ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এখন থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট ও বাজার গুলোতে ভ্যানে করে ঘাস বিক্রি করে নিজের কর্মসংস্থান নিজেই সৃষ্টি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকেই। গতকাল রবিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ পাতার ঘাসের সমারোহ। ঘাস চাষে ভাগ্য বদল ও কর্মসংস্থান হতে পারে এটা আগে কখনও ভাবাই যায়নি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্ভাবনী ও পরিকল্পনায় গরু খামারিদের কাছে ঘাস যেন এখন সবুজে পরিনত হয়েছে

মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রাম থেকে ভ্যানে করে ঘাস বিক্রি করতে আসা আলামিন ও খালেক জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘাস চাষ হয়ে থাকে। সেখান থেকে আটি ৬ থেকে ৭ টাকা করে কিনে ফেরি করে ১০ টাকা বিক্রি করে তারা।এতে করে প্রতিদিন ৭ শত টাকা থেকে ১ হাজার টাকা আয় হয়।

অনেকেই এখন বেকার বসে না থেকে ঘাস বিক্রি করে সংসার চলায়। সার তেলসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্যের দাম বেশি অন্যান্য ফসল চাষে উৎপাদন খরচই যেখানে উঠছে না সেখানে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় এবং নিজের খামারের গরুর খাদ্য চাহিদা মিটাতে এ ঘাস চাষ করছেন তারা। গো- খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে তারা ঘাস বিক্রি করে বার্তি আয়ও করছেন। তারা আরো জানান, ঐ ঘাস বিক্রি করে শতশত লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করতে খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় দেড় মাস বিক্রি করা যায়। ঘাস ব্যবসায়ীরা জমিতে এসে কিনে নেন তাদের ঘাস। যেসব পতিত জমি সারা বছরই খালি পড়ে থাকে সেই সকল জমি সহ রাস্তার ধারে একটু সচেতন হলেই জমিগুলো কাজে লাগিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

মিঠাপুকুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আলতাব হোসেন বলেন, উপজেলায় ২ হাজার ৪ শত ০৩ টি গাভীর গরুর খামারসহ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ১শত ১০ টি গরু রয়েছে। উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে ৩৩ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। গো- খাদ্যের চাহিদা প্রায় ৩৪৩ টন। ঘাটতি রয়েছে প্রায় ১৪৫ টন। দুধের উৎপাদন বাড়াতে দিন দিন নেপিয়ার ঘাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাস চাষিদের উদ্ধুদ্ধের পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে খামারিদের মাঝে পাকচং জাতের নেপিয়ার ঘাস চাষে উৎসাহিত করছি। পাশাপাশি আগ্রহী খামারি ও কৃষকদের ঘাস চাষে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, উপজেলায় খামারীর সংখ্যা ৯ শত ৩৫ জন। প্রায় ২ শত ১৪ হেক্টর জমিতে ঘাস চাষাবাদ হয়েছে। নেপিয়ার ঘাস পরিত্যক্ত জায়গায় ভালো জন্মে। চাষ পদ্ধতি ও গুনাগুন সম্পর্কে কৃষক অবগত হলে ঘাসের চাষে তারা আরোও উৎসাহিত হবেন। ঘাস চাষ করে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।

এম২৪নিউজ/আখতার

Leave a Reply