শামীম আখতার
মিঠাপুকুর উপজেলার রাণীপুকুরে সাইকেল চুরির দায়ে আটক হওয়া সেই চোর অবশেষে ছাড়া পেয়েছে। ঘটনারদিন (সোমবার) রাতেই তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ছেড়ে দেয়া হয। এদিকে, তাকে টাকার বিনেময়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত জয়নাল মিয়া বলেন, গণপিটুনির দিয়ে চোরকে পরিষদে দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে, চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে তাকে অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়। টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, টাকা আমরা নেইনি। শুনেছি রসুরপুরের সাইফুল ও রাণীপুকুরের আবু সাইদ তাদের কাছে টাকা নিয়েছে। এ বিষয়ে জানার জন্য অত্র ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঙ্গার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যানি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধায় উপজেলার রাণীপুকুর হাটে সাইকেল চুরির ঘটনায় এক চোরকে আটক করে স্থানীয়রা। চুরির সময় হাতেনাতে আটক করে তাকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে সোপর্দ করা হয়। তার বাড়ি রংপুর সদরের সদ্যপুস্করনি ইউনিয়নের রামজীবন গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের এক কৃষক সোমবার সন্ধায় দোকানের পাশে সাইকেল রেখে খরচ করছিলেন। এ সুযোগে সাইকেলটি চুরি করে পালানোর সময় তাকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রানীপুকুর হাটের পুস্তুক ব্যবসায়ী আরিফুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমার দোকানের সামনে থেকে পর পর তিনটি সাইকেল চুরি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিয়েছিলাম। চোর সনাক্ত হওয়ার পরেও অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি সাইকেল চুরি হয়েছে এই হাট থেকে। তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে বর্তমানে বাজারে চোরের উৎপাত বেড়েছে।
কৃষ্ণপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম রবি বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে রানীপুকুর হাট থেকে আমার একটি নতুন সাইকেল চুরি হয়। অনেক খোজাখুজির পরেও সাইকেলটির সন্ধান মেলেনি। চোরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন না করার কারণে রাণীপুকুরে চুরির সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।