মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মা-ছেলেসহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার|

রংপুরের মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মা-ছেলেসহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর (নয়আনা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম (৫৫), তার ছেলে ঈদা মিয়া (৩৫) ও পাশের বাড়ির তবারক মিয়ার ছেলে ইবলুল মিয়া (৩৬)। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম রান্নার জন্য বাড়ির পাশে লাউয়ের পাতা তুলতে যান। এসময় অসাবধানতা বশত. সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা ভেঙ্গে ভিতরে পড়ে যান। তার চিৎকার শুনে ছোট ছেলে ঈদা মিয়া মাকে বাঁচাতে সেপটিক ট্যাংকের গর্তে নেমে উদ্ধারের চেষ্টা করতে থাকেন। পরে তাদের বাঁচাতে মই দিয়ে নিচে নেমে পড়েন প্রতিবেশী তবারক হোসেনের ছেলে ইবনুল মিয়া। একপর্যায়ে তাদের সাঁড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।

খবরপেয়ে সকাল ৮টার দিকে মিঠাপুকুর ও রংপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে সেপটিক ট্যাংকে আটকা পড়াদের উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে তাদের মৃত্যু হয়।

প্রতিবেশি বারিকুল ইসলাম বলেন, দোলোয়ার বেগম সকালের রান্নার জন্য লাউ গাছের পাতা তুলতে গিয়ে সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে ছেলে ইদা মিয়া ও প্রতিবেশী ইবলুল মিয়া সেখানে নেমে পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে তাদেরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, ওই সেফটিক ট্যাংকের ভিতরে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসে তাদের মৃত্যু হতে পারে।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ বলেন, দুর্ঘটনাবশত দেলোয়ারা বেগম সেফটি ট্যাংকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে ছেলে ও একজন প্রতিবেশি সেখানে নেমে পড়েন। পরে ৩ জনই মৃত্যুবরণ করেন।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সেফটিক ট্যাংকে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

এম২৪নিউজ/আখতার

Leave a Reply