স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মা-ছেলে সহ তিনজন মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে হুমায়ুন কবীর নামে এক স্থানীয় যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। হুমায়ুন কবীর গোপালপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের মৃত. নুরু মুন্সির ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে ধাপ উদয়পুর গ্রামে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মা-ছেলে সহ তিনজন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা দেখতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়েন হুমায়ুন কবীর। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
স্থানীয় বারিকুল মিয়া জানান, একসাথে তিনজনের মৃত্যু দেখে শোক সইতে না পেরে হুমায়ুন কবীর হার্ট অ্যাটাকে করেছিল। রাত নয়টার দিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ এক হৃদয় বিদারক ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর গ্রামে বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম রান্নার জন্য বাড়ির পাশে লাউয়ের পাতা তুলতে যান। এসময় অসাবধানতা বশত. সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে পড়ে যান। তার চিৎকার শুনে ছোট ছেলে ঈদা মিয়া মাকে বাঁচাতে সেপটিক ট্যাংকের গর্তে নেমে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে তাদের বাঁচাতে গর্তে নামেন প্রতিবেশী তবারক হোসেনের ছেলে ইবনুল মিয়া।
একপর্যায়ে তাদের সাঁড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবরপেয়ে সকাল ৮টার দিকে মিঠাপুকুর ও রংপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে সেপটিক ট্যাংকে আটকা পড়াদের উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে তাদের মৃত্যু হয়।
মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান বলেন, সেপটিক ট্যাংকটি সরু ও গভীর ছিল। তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সেফটিক ট্যাংকে পড়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
এম২৪নিউজ/আখতার