কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল কবীর টুটুল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আত্নগোপনে রয়েছেন। প্যানেল চেয়ারম্যান সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য পেয়ারী বেগমকে দায়িত্ব পালন করতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুরুষ সদস্যদের বিরুদ্ধে। তাই, বিভিন্ন সেবা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন ইউনিয়নবাসী। কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে তাদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদ রেজাউল কবীর টুটুল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আশিকুর রহমানের একান্ত আস্থাভাজন ছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদে গত ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল সাধারণ সভায় ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য পেয়ারী বেগমকে এক নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনিত করা হয়।
গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে চেংমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও এলাকা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুদিন পর তিনি ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার বাধায় কার্যালয়ে বসতে পারেননি। এরপর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও’র পরামর্শে প্যানেল চেয়ারম্যান পেয়ারী বেগম ৮ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদে যান। জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিক সনদপত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু, কয়েকজন পুরুষ ইউপি সদস্য পেয়ারী বেগমকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেন। একজন নারীকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে দেবেন না বলে জানিয়ে দেন এবং নানা হুমকি-ধামকি দেন। এ কারণে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে কাজ করতে পারছেন না। এর ফলে, ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা লোকজন পড়েছেন বিড়ম্বনায়। জন্ম ও মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশন সনদ, চারিত্রিক ও নাগরিক সনদসহ বিভিন্ন সেবা বন্ধ রয়েছে ওই ইউনিয়নে।
স্থানীয় রেজাউল, কোব্বাত, আব্দুর রহিম ও ফুলতি বেগম সহ বেশ কয়েকজন বলেন, আমরা বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছি। প্রশাসনের কাছে এর দ্রুত সমাধান চাই।
প্যানেল চেয়ারম্যান পেয়ারী বেগম বলেন, আমি শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছি, অপরাজিতা নেটওয়ার্ক এর সাথে জড়িত, জিআইজেড এর মাধ্যমে শালিস করে সুষ্ঠু সমাধানসহ নানা সামাজিক কাজ করে থাকি। জনগণের দুর্দশার কথা ভেবে ইউএনও’র পরামর্শে আমি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু, পুরুষ ইউপি সদস্য রায়হান, মিজানুর রহমান, আতিয়ার রহমান ও হারুন অর রশীদ আমাকে দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করেন এবং বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছেন।
ইউপি সদস্য রায়হান মিয়া বলেন, ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান হয়েছেন পেয়ারী বেগম। প্রকৃত রেজুলেশনে আমাকে প্যানেল চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, কেউ যদি তাকে দ্বায়িত্ব পালনে বাধা দেয়, অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এম২৪নিউজ/আখতার