স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের মিঠাপুকুরে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময় চুরির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র এবং একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার গড়ের মাথা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা হলেন, বগুড়া জেলার মালগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে সোহেল রানা (৩২), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাপারগঞ্জ গ্রামের হামেদ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন (২৫), চাঁদপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রবি শেখ (২৭) এবং মাখতা পূর্বপাড়া গ্রামের মহব্বত মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান ২৫।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর রাত ৪টার দিকে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের সদস্যরা মহাসড়কে একটি ট্রাক রেখে উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের ফকিরেরহাট সংলগ্ন হাড়ড়পাড়া গ্রামে ঢুকে কৃষক আতিয়ার রহমানের বাড়ীতে গরু চুরির চেষ্টা করে। গ্রামবাসী টের পেয়ে চোরদের ধাওয়া করেন।
একপর্যায়ে চোর চক্রের সদস্যরা নিজেকে বাঁচাতে দ্রুত মহাসড়কে রাখা ট্রাকে করে পালিয়ে গেলে লোকজন চিৎকার শুরু করেন। এসময় মিঠাপুকুর-ফুলবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে পেট্রোল ডিউটির দ্বায়িত্বে ছিলেন এসআই ছাইয়ুম তালুকদার। এলাকাবাসীর চিৎকার শুনে তিনি ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে মিঠাপুকুর থানায় অবগত করলে পুলিশের দুটি টিম গড়েরমাথা নামক এলাকায় বেরিকেট দিয়ে ট্রাক ও চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
কৃষক আতিয়ার রহমান জানান, আমার গোয়াল ঘরে থাকা চারটি গরুর মধ্যে সবচেয়ে বড় গরুটি বের করার সময় শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এসময় আমার চিৎকার শুনে গ্রামবাসী বেরিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা সবাই অন্য জেলার বাসিন্দা। স্থানীয় লোকের সহযোগীতা ছাড়া চুরি করা অসম্ভব। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে কারা জড়িত আছে, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তারা।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ এই আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রটির সাথে আরো কারা জড়িত আছে আমরা জানার চেষ্টা করছি।
এম২৪নিউজ/আখতার