নিউজ ডেস্ক:
বুধবার (১২ মার্চ) সকালে মিঠাপুকুর উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের মোসলেম বাজারে এক বিকাশ ব্যবসায়ীর আড়াই লক্ষাধীক টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে Jewel Rana নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
১২-০৩-২০২৫
সকাল ৯:০০
কাকে বিশ্বাস করবেন?
দিন শেষে বিশ্বাসী মানুষ গুলোই বারংবার ঠকে যায়!
অন্য সব দিনের মতো আমি আজকেও ফুলবাড়ি যাচ্ছি, গন্তব্য জয়পুরহাট। সকালের ট্রেন ধরার জন্য ৮:৩০ এ বাড়ি থেকে বের হয়ে মসলিম বাজারে গেলাম। প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও বাসস্ট্যান্ডের সামনে বিকাশের দোকানের ব্রেঞ্চে বসে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। এমন সময় বন্ধু আ: রাব্বির বাইকের মতো একটা বাইক এসে সামনে দাঁড়ায়। ভাবলাম পরিচিত কেউ হবে কিন্তু না অপরিচিত দুজন বাইক থেকে নেমে সামনে আসলো বেশ কিছুক্ষণ কথা বললো,আর একজন বাইক নিয়ে সামনে ঘুরা ঘুরি করতে লাগলো। যদিও প্রথম দেখায় বুঝে ছিলাম এগুলো নেশাখোর, বাটপার।
সকাল ৯ টা বাজলো, এমন সময় বিকাশের দোকানের মালিক আসলো, দোকান খুলতে গিয়ে দেখে তালায় গ্লু দেয়া। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পরও যখন তালা খুলতে পারলো না। বাইকের ওই দুজনের মধ্যে একজন নেমে এসে একটা মিনিট কার্ডের আবদার করলো এবং সাহায্য করার জন্য চাবি দিয়ে তালা খুলতে চেষ্টা করলো, রমজান মাসে দোকানের তালায় গ্লু দেয়ার জন্য কয়েক বার গালাগালি ও করলো যে গ্লু দিয়েছে তাকে।
এইদিকে বিকাশের দোকানদার এক পাশের ঝাপ ভাসিয়ে একটা মিনিট কার্ড বের করে ওদের দিল, কিন্তু কার্ড নিয়ে চলে না গিয়ে ওখানেই থাকলো।
বেশ খানিকক্ষণ চেষ্টা করার পরও তালা খুলতে না পেরে তার দোকানের পিছনের দোকানে গিয়ে বললো এবং উনি এসে তালা খুলতে চেষ্টা করলো তেল দিল , আবার কয়েকবার চাবিতে আঘাত করলো যার ফলে তালার ভিতরে গেলো ভাবলাম খুলে যাবে আমিও যুকে দেখছিলাম।
বাইকের দুজনের একজন বাইকটা সামনে নিয়ে আসলো। থুথু ফেলতে গিয়ে দেখলাম। ভাবলাম হয়তো এমনিতেই। পিছনের ব্রেঞ্চে আমার ব্যাগ গুলোও রেখে তালা খোলার ওখানে দেখতে লাগলাম এবং দোকানির সাথে কথা বলতে লাগলাম।
হঠাৎই পিছন থেকে আওয়াজ আসলো “ব্যাগ নিয়ে গেলো”,”ব্যাগ নিয়ে গেলো” আমি ভাবলাম হয়তো আমার ব্যাগ পিছনে ফিরে এগিয়ে এসে দেখলাম ঠিক আছে আমার ব্যাগ। এমন সময় দোকানি বললো ওনার ব্যাগ নাই? ব্যাগ নিয়েই প্রচন্ড গতিতে বাইকে পালিয়েছে। দোকানি সাথে সাথেই একটা পালসার বাইক নিয়ে ধাওয়া করতে গেলো। আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না,যে তালায় এরাই গ্লু দিয়েছে।
এমন সময় বাস আসলো আর থামার সুযোগ হলো না ট্রেন ধরার জন্য বাসে উঠলাম। সিটে বসে ভাবছি এতো সুন্দর করে কথা বললো আমার সাথে, তালায় গ্লু যিনি দিয়েছে তাকেও গালাগালি করলো বেশ কয়েকবার। ইনিই আবার এই কাজ করলো।
বাসে ওঠার জন্য জানতে পারিনি ব্যাগে কি ছিল। একটু আগে দেখলাম “আড়াই লাখ টাকা এবং কয়েকটা মোবাইল” ছিল নাকি। দোকানের মালিককে আল্লাহ ধৈর্য্য ধারণ করার তৌফিক দিক,আর এসব প্রতারক’কে ধ্বংস করে দিক।

এম২৪নিউজ/আখতার