স্টাফ রিপোর্টার:
মিঠাপুকুরে দুই হাতুড়ে চিকিৎসকের কাটা ছেড়ায় প্রায় দুই লক্ষ টাকা মুল্যের গাভী ও বাছুর মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মিলনপুর ইউনিয়নের তরফশাদী মুন্সিপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, ওই গ্রামের এনামুল হক বাপ্পির একটি লাল রংয়ের শাহীয়াল বিদেশী জাতের অন্তঃস্বত্তা গাভী ১৩মে সকাল ৯টার দিকে প্রসব বেদনায় ছটফট করতে থাকলে একই গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসের অস্থায়ী ভ্যাক্সিলেটর আক্তারুজান তার সহযোগী জাহেদুল নামের একজনসহ গাভীটির বাচ্চা প্রসব করার জন্য আসেন।
দুই হাতুড়ে চিকিৎসক আক্তারুজান ও জাহেদুল গাভীটির যৌনাঙ্গে হাত ঢুকিয়ে দীর্ঘক্ষন টানা হেচড়া করে বাচ্চা প্রসব করাতে না পেরে ব্লেড দিয়ে গাভীটির যৌনাঙ্গ কেটে ভিতরে থাকা বাচ্চাটিকে (বাছুর) রশি দিয়ে টেনে প্রসব করালে বাছুরটি কিছুক্ষন পর মারা যায়। এরপর তারা গাভীটির যৌনাঙ্গের কাটাস্থানে পুরাতন প্লাষ্টিকের বস্তা হতে সুতা খুলে নিয়ে সেলাই দিয়ে চলে যান। ব্লেড দিয়ে কাটা ছেড়া এবং দীর্ঘক্ষন টানা হেচড়া করার ফলে প্রচুর রক্তক্ষরন হওয়ায় গাভীটি ওই দিন রাত আনুমানিক ১০টার সময় মারা যায়। মারা যাওয়া ওই গাভী বাছুরের মুল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় বিশাল ক্ষতির মুখে পড়ে গাভী মালিক দিশেহারা হয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত অস্থায়ী ভ্যাক্সিলেটর আক্তারুজ্জামান বলেন, আমি প্রথমে গাভীটিকে দেখার পর নিজে পারব না হেতু জাহেদুলকে ডেকে নিয়েছি। জাহেদুল সবকিছু করেছে। জাহেদুল এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হননি।
মিঠাপুকর উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসের দায়িত্বে থাকা ভেটেনারী সার্জন ডাঃ মাহমুদুল হাসান জানান, আক্তারুজান ও জাহেদুল গাভীটির চিকিৎসা কিংবা সিজারিয়ান করতে পারেন না। তাদের এ কাজ করা ঠিক হয়নি। ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এম২৪নিউজ/আখতার