স্টাফ রিপোর্টার:
মিঠাপুকুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি বে-দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বে-দখলে থাকা সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য আদালত মিঠাপুকুর থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এরফলে বে-দখলে থাকা সম্পত্তি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আদালতের আদেশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের বলদীপুকুর মৌজার ১০০৭ হাল দাগের ১ একর ৯৪ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে ভোগদখল করেছেন গোলাম হোসেন ও আব্দুর রহমান মিস্টার। স্থানীয় গোলাম রব্বানী নামে একজন আব্দুর রহমান মিস্টারের ভোগদখলীয় ৯৭ শতক জমি ক্রয় করেন।
কয়েক বছর আগে ক্রয়কৃত ওই সম্পত্তির ৮ শতক জমি বে-দখল করেন শ্রী প্রদীপ চন্দ্র, ভূপেন চন্দ্র ও ফারুক মিয়া। এ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন গোলাম রব্বানী। আদালত গোলাম রব্বানীর পক্ষে রায় দিয়ে বে-দখলে থাকা সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য মিঠাপুকুর থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু মিঠাপুকুর থানা পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, শ্রী প্রদীপ চন্দ্র, ভূপেন চন্দ্র ও ফারুক মিয়া দির্ঘদিন ধরে সম্পত্তিগুলো বে-দখলে রেখেছেন। স্থানীয়ভাবে কয়েকদফা শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু বে-দখলকারীরা ওই সম্পত্তি ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেন। পরে আদালতে মামলা দায়ের হলেও বে-দখলকারীরা আদালত অবমাননা করেন।
রাণীপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু ফরহাদ পুটু বলেন, ‘কয়েকবার আমি স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক করেছি। ওই সম্পত্তি ছেড়ে দিতে তারা রাজি নন। আদালতে মামলা ছিল, গোলাম রব্বানী রায় পেয়েছে। বাকিটা থানা পুলিশ দেখবে।
মামলার বাদি গোলাম রব্বানী বলেন, জমি ক্রয়ের পর হতে ওই ৮ শতক সম্পত্তি প্রভাবশালীরা বে-দখলে রেখেছে। আমি কয়েকবার স্থানীয়ভাবে চেস্টা করেছি জমি উদ্ধারের জন্য। কিন্তু তারা প্রভাব খাটিয়ে জমিগুলো ধরে রেখেছে। পরে আদালতে মামলা করি। মহামান্য আদালত আমার পক্ষে রায় প্রদান করে মিঠাপুকুর থানা পুলিশকে জমি উদ্ধারের জন্য নির্দেশ প্রদান করে। তারপরও বে-দখলকারীরা ওই সম্পত্তিতে ধানের চারা রোপন করে দখলে রেখেছে।
রাণীপুকুর ইউনিয়ন বিট পুলিশের সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আদালতের নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। জমি মাপামাপির জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করেছিলাম কিন্তু বিবাদী শ্রী প্রদীপ চন্দ্র, ভূপেন চন্দ্র ও ফারুক মিয়া এতে রাজি নন। একারণে বিষয়টি সমাধা হচ্ছেনা।
অভিযুক্ত প্রদীপ চন্দ্র রায় বলেন, রাস্তার পূর্বপাশে আমাদের জমি আর রাস্তার পশ্চিমপাশে গোলাম রব্বানীর জমি। আমরা যদি বেশি পরিমান জমি ভোগদখল করি তাহলে মেপে দেখুক, আমাদের কোন আপত্তি নেই। আদালতে গোলাম রব্বানী রায় পেয়েছে, আমরা আদালতের রায় মানতে বাধ্য।
এম২৪নিউজ/আখতার