মিঠাপুকুরে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও চাকরি না পেয়ে থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:

রংপুরের মিঠাপুকুরে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইমাদপুর পশ্চিমপাড়া  উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে। ৬ মাস আগে ইমাদপুর কানারমাল্লী এলাকার  বাবলু মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম অনিকের থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। চাকুরী দিতে না পেরে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সহ প্রধান শিক্ষক। বাকি টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করায় বৈরাতীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম।

সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে অভিযোগের ভিত্তিতে শালিসের আয়োজন করেন তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ রফিকুজ্জামান। অভিযুক্তরা হলেন, প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলম ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও মোস্তফা মিয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, অনিকের টাকা ফেরত দিয়ে নৈশ প্রহরী পদে অন্য একজনকে নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে অনিকের থেকে বেশি  টাকা নিয়েছেন। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলম অস্বীকার করেছেন।

ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম বলেন, ছয় মাস আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা  আমাকে স্কুলে নৈশ প্রহরী পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলায় আমি সুদের টাকা ঋণ, জমি বন্ধক রেখে তাদেরকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। সে সময় কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর, মোস্তফা,ও প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলম ১১ লাখ টাকায় আমাকে নিয়োগ করার প্রস্তাব করেন উপজেলার বৈরাতী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।

কয়েকদিনের মধ্যে বৈরাতীহাট এলাকার একটি মুদি দোকানে বসে প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলমকে ২ লাখ টাকা দেই। বিদ্যালয়ের সভাপতি রাজুকে তার নিজ বাড়িতে ২ লাখ টাকা দেই, বৈরাতী ক্লিনিক মাটে ও আমার নিজ বাড়িতে  ৬ লাখ   টাকা দেই ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর ও মোস্তফাকে। আমাকে কিছু টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা দিতে টালবাহানা করছেন।

ঘুষ লেনদেনের সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী চাকুরীর জন্য টাকা দিয়েছিলেন। এখন এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার বাকী রয়েছে।

মিঠাপুকুর উপজেলা  শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া অপরাধ। প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এম২৪নিউজ/আখতার

Leave a Reply