মিঠাপুকুরে ভূমি কর্মকর্তাকে মারপিটের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার:

রংপুরের মিঠাপুকুরে ভূমি কর্মকর্তাকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে বড় হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন মিয়ার বিরুদ্ধে। জমির খারিজ করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান মারপিটের শিকার ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বড় হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থিত ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। সেদিন রাত সাড়ে ১০ টায় ঘটনাটি ইউএনওকে জানান ওই ভূমি কর্মকর্তা। এ ঘটনায় শুক্রবার ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ঘটনাটি অবগত করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও রুহুল আমিন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বড় হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিয়া একটি জমি খাজির করার জন্য আবেদন করেন। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম তদন্ত পূর্বক নথিসহ প্রতিবেদন মিঠাপুকুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে প্রেরণ করেন। সেখানে যাচাই-বাচাই শেষে খারিজ আবেদনটি বাতিল হয়ে যায়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান দোষারোপ করেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে। এ ঘটনার রেশ ধরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে গালিগালাজ করেন। এর কিছুক্ষণ পরে চেয়ারম্যান তার সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়ে আক্রমন চালায়। বেধরক মারপিট করা হয় ভূমি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে। এসময় কার্যালয়ের ফাইল, চেয়ার, টেবিল ও আসবাবপত্র তছনছ করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভূমি কর্মকর্তা রেহায় পান।

ভূমি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, মোবাইল ফোনে গালিগালাজ করার কয়েক মিনিট পরে চেয়ারম্যান লোকজনসহ আমার উপর আক্রমন চালায়। তিনি কয়েকদফা আমাকে লক্ষ করে চেয়ার ছুড়ে মারেন, মারপিট করেন। তার সঙ্গে থাকা লোকজনেরা পিছন দিক হতে আমাকে আঘাত করতে থাকে। পরে উপস্থিত লোকজনের সহায়তার আমি রক্ষা পাই। তিনি আরও বলেন, ঘটনার কিছুক্ষন পর চেয়ারম্যান আমার কাছে এসে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।

অভিযুক্ত বড় হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন মিয়া বলেন, গায়ে হাত তোলা হয়নি, কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে বিষয়টি সেখানেই সমাধান হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার (অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন বলেন, ঘটনাটি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এইচএন আশিকুর রহমান এমপি স্যার ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

এম২৪নিউজ/আখতার

Leave a Reply