মিঠাপুকুরে কালোবাজারে ভিজিএফের চাল বিক্রির অভিযোগ, অতঃপর….

অনলাইন ডেস্ক:

মিঠাপুকুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ করা ভিজিএফের চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ৩২০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয় বলে জানা গেছে।

রোববার (২৩ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর উপজেলার বৈরাতিহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রফিকুজ্জামান।

তিনি জানান, ভিজিএফের চালগুলো বিতরণ না করে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চালগুলো জব্দ করা হয়। বর্তমানে চালগুলো মিঠাপুকুর থানা হেফাজতে রাখা রয়েছে।

পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রফিকুজ্জামান আরও বলেন, ‘রোববার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ও ইমাদপুর ইউনিয়নের ঈদ উপলক্ষে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা চালের মধ্যে ৩২০ কেজি চাল এক ব্যবসায়ীর কাছে পাওয়া গেলে স্থানীয় জনগণ আটক করে। পরে উদ্ধার করা ৬ বস্তা চাল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হট্টগোল শুরু হলে সেগুলো চাল থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ৬৭ বস্তা চাল ইমাদপুর ইউনিয়নের গোডাউনে লুকিয়ে রাখা আছে। সেগুলো বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মির্জাপুর ইউনিয়নের ভাইস চেয়ারম্যান রিক্তা বেগম অভিযোগ করে বলেন, প্রতিজনের জন্য ভিজিএফের চাল বরাদ্দ ছিলো ১০ কেজি। কিন্তু চেয়ারম্যান আমাদের কার্ড না দিয়ে কালোবাজারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিক্রি করেছে। আমরা একটি কার্ডও পাইনি।

এদিকে ঈদের আগে মির্জাপুর ও ইমাদপুর ইউনিয়নের ৪০৪ জন উপকারভোগী এখনো চাল না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়েছেন।

অন্যদিকে মিঠাপুকুর উপজেলার ১৭নং ইমাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে চুরি করে বিক্রি করার বিষয়টি ভিত্তিহীন।

ইমাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ডানোর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, উদ্ধার করা চাল এক উপকারভোগী বিক্রি করেছেন অসাধু ব‍্যবসায়ীর কাছে। ওই চাল উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। না হলে নতুন করে উপকারভোগী যাচাই বাছাই করে বিতরণ করা হবে। আর চাল কালোবাজারির বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মিঠাপুকুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য জাকির হোসেন সরকার (এমপি) মোবাইল ফোনে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। কিছু ভুক্তভোগী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার সত‍্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর কার্ডধারী উপকারভোগীরা ভিজিএফের চালগুলো যাতে সঠিকভাবে পান সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তথ্যসূত্র: সময়

এম২৪নিউজ/আখতার

Leave a Reply