মিঠাপুকুরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাটি খেকো শাকিল-হালিমের দৌরাত্ম্য

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি:

ছিলেন মটর সাইকেল মেকানিক। নাম লিখেছেন মাটি পরিবহন ব্যবসায়। মিঠাপুকুর উপজেলা প্রশাসনের দূরদর্শিতায় এক প্রকার কমতে শুরু করেছে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন ও পরিবহন ব্যাবসা।

সম্প্রতি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তাকিম বিল্লাহ্ অবৈধ মাটি পরিবহনের দায়ে দুইটি ভেকু জব্দ করেন। অনেক ব্যাবসায়ী এরই মধ্যে তাদের ব্যাবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। তবে নতুন আতঙ্কের কারন হয়েছেন মোটর সাইকেল মেকানিক হালিম এবং ট্রাক্টর ড্রাইভার শাকিল।

২৫ এপ্রিল রাতে সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বৈরাতীহাট এলাকায় মাটি কেটে বিক্রি করছেন শাকিল ও হালিম। তারা মাটিখেকো সিন্ডিকেটের ‘মূল হোতা’ বলে জানান স্থানীয়রা। তবে অভিযোগের ব্যাপারে ফোন দেওয়া হলে কেউ ধরেননি। শর্ত লঙ্ঘন করে তারা রাস্তার পাশে বালু তুলছে ও ফসলি জমির মাটি কাটছে।

প্রশাসনের শিথিলতার সুযোগ নিয়ে কৌশলে রাতের আঁধারে বেপরোয়া ব্যাবসায় মেতে উঠেছেন। রাত যতই গভীর হয় ততই বাড়ে শব্দ। এ শব্দ স্ক্যাভেটর ও মাটি বোঝাই গাড়ির। বিকট শব্দে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের উৎপাত বাড়তে থাকে। ফসলি জমির টপসয়েল, রাস্তার পাশে গভীর খনন করে সাবাড় করে দিচ্ছে মাটি খেকো এই দুইজন।এতক্ষণ বলছিলাম উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বৈরাতীহাট এলাকার কথা।

ইতোমধ্যে মাটি সিন্ডিকেট বৈরাতী বাজারের পশ্চিম পাশে শঠিবাড়ী-বৈরাতী হাট রোড সংলগ্ন জমি থেকে মাটি বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলছে তাদের এই কর্মযজ্ঞ। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এমন চললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোস্তাকিম বিল্লাহ বলেন, ‘বালু-মাটি পাচার রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। অনেক গাড়ি, বালু ও বালু তোলা বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এম২৪নিউজ/আখতার

Leave a Reply