অনলাইন ডেস্ক:
প্রথম প্রেমিকাকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে আরেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যান। সেই সম্পর্ক ধরা পড়ার পর জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। সেই স্ত্রীকে ঘরে তোলার খবর জানতে পেরে বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন প্রথম প্রেমিকা। অবশেষে তাঁকেও বিয়ে করে ঘরে তুলতে বাধ্য হয়েছেন যুবক।
পঞ্চগড় আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বারে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে এখন ভাইরাল।
দুই প্রেমিকাকে পাশাপাশি বসিয়ে বিয়ে করেছেন রোহিনী চন্দ্র বর্মণ (২৫) নামে এক যুবক। তিনি দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করে একই সঙ্গে ঘরেও তুলেছেন। এদিকে এক সঙ্গে দুই প্রেমিকাকে বিয়ের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
গতকাল বুধবার লক্ষ্মীদ্বারের রোহিনী চন্দ্র বর্মণ (২৫) নিজ বাড়িতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইতি রাণী (২০) ও মমতা রাণীকে (২১) বিয়ে করে ঘরে তোলেন।
জানা গেছে, রোহিনী চন্দ্র বর্মণ জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার এলাকার যামিনী চন্দ্র বর্মণের ছেলে। তাঁর প্রথম স্ত্রী ইতি রাণী একই ইউনিয়নের গাঠিশাপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে। অন্যজন মমতা রাণী একই ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীদ্বার এলাকার টনোকিশোর রায়ের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রাণীর সঙ্গে রোহিনীর দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েক মাসে আগে তাঁরা মন্দির গিয়ে বিয়ে করেন এবং বিয়ের কথা গোপন রাখেন। এর মধ্যে রোহিনী লক্ষ্মীদ্বার এলাকার টোনোকিশোর রায়ের মেয়ে মমতা রাণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান। গত ১২ এপ্রিল রাতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে যান রোহিনী। সেখানে রোহিনীকে আটক করে রাখেন মমতার বাড়ির লোকজন এবং পরদিন (১৩ এপ্রিল) তাঁদের বিয়ে দিয়ে দেন।
এদিকে রোহিনীর বিয়ের খবর শুনে গতকাল বুধবার সকালে তাঁর বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন ইতি রাণী। রাতে তিন পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ইতি ও মমতার সঙ্গে রোহিনীর একসঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়। দুই স্ত্রীকে একসঙ্গে ঘরে তুলে নেন রোহিনী।
এ বিষয়ে রোহিনী বর্মণের সঙ্গে তাঁর ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এক যুবক দুই মেয়েকে বিয়ে করেছে এমন খবর শুনেছি। তবে এর আগে আমাকে মৌখিকভাবে তাঁদের অভিভাবকেরা বিষয়টি জানালে আমি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। পরে তাঁরাও আর আসেননি, যোগাযোগও করেননি।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা
এম২৪নিউজ/আখতার