অনলাইন ডেস্ক:
রংপুরে চাকরিচ্যুত বিজিবি সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি’ পিলখানায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের জেরে চাকরিচ্যুতরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি (পিলখানা) ঢাকায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্ত করে দোষীদের বিচার করতে হবে। এছাড়া যারা নির্দোষ তাদের মুক্তি দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক। পিলখানার হত্যাকাণ্ডটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বিধায় তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহ কথাটি বাতিল করতে হবে।
তারা আরো বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। এ কারণে নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চাকরিচ্যুত নিরাপরাধ বিজিবি সদস্যদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডিআর কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক নায়েক মো. সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব সিপাহী মাহমুদ, সদস্য সিপাহী রাজু আহমেদ প্রমুখ।
পরিশেষে তারা নিম্নোক্ত দাবি জানান-
ক। ২০০৯ সালে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর পিলখানা সংঘঠিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথা কথিত বিদ্রোহ সংঙ্গায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করতে হবে।
খ। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত সব প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে হবে।
গ। চাকুরিচ্যুত সব পদবির বিডিআর সদস্যকে সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
ঘ। হত্যাকাণ্ড মামলার মহামান্য হাইকোর্টের বিচারকের রায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পিলখানার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তকল্পে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
ঙ। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শাহাদত বরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহিদের মর্যাদা দিতে হবে।
চ। ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে পিলখানার ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
ছ। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পরবর্তী তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তা হেফাজতে যেসব নিরীহ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনপূর্বক হত্যা করা হয়েছে, তাদের তালিকা প্রকাশপূর্বক মৃত সব পদবির পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসন করতে হবে।
জ। তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিযুক্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্তপূর্বক বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ঝ। বিশেষ আদালত কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষকারী বিডিআর সদস্য, যারা প্রহসনের বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে কারা অন্তরীণ আছে, তাদেরকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জামিন অথবা মামলা হতে অব্যাহতিপূর্বক মুক্ত করতে হবে।
এম২৪নিউজ/আখতার