নিউজ ডেস্ক:
নামের ভুলে যাবজ্জীবন সাজার আসামি হয়ে ৩৮ দিন কারাবাস। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ, পুলিশ আর জেল কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে স্বীকার করল তাদের ভুলের কথা। বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ পুরো ঘটনা তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৩১ জুলাই সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মজনু সরকারের বদলে রংপুরের মিঠাপুকুরের মজনু মিয়াকে ধরে নিয়া যায় পুলিশ। এ নিয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী বিভূতি তরফদার। রাষ্ট্রপক্ষকে পুরো ঘটনা মৌখিকভাবে জানানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টকে জানায়, ভুল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাকে ধরা হয়েছে, তিনি নির্দোষ। এতে দায়ী কারা, তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে মজনু মিয়ার মুক্তি নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রংপুরে থাকা মজনুর পরিবার বলছে, দ্রুত গ্রামের ছেলেকে গ্রামে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
মজনু মিয়ার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, মজনু এই মামলার আসামি না। অন্য একজন আসামি। তারা আমার ভাইকে ধরে নিয়ে গেছে। মিথ্যা মামলায় আমার ভাইকে নিয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের মুক্তি চাই।
মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এমন ঘটনায় যদি কাউকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা দরকার। রাষ্ট্রীয় কোষাগার এবং যে ব্যক্তি এমন ভুলে মানুষকে গ্রেফতার করার সঙ্গে জড়িত তার বেতনের অংশ কেটে নিয়ে হলেও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়া দরকার।
এম২৪নিউজ/আখতার