নিউজ ডেস্ক:
‘নিজেরাই ঠিকমতো চলতে পারি না। চিকিৎসা করাব কীভাবে। তার তো বিয়ে হবে না। বয়সে কিশোরী হলেও এখনো তাকে শিশুর মতো লালনপালন করতে হচ্ছে। আমরা মারা গেলে সুমাইয়ার কী গতি হবে? এ নিয়ে চিন্তিত আমরা।’ এমনটাই বলছিলেন দেখতে ছোট বাচ্চাদের মতো ১৭ বছর বয়সী কিশোরী সুমাইয়ার বাবা জামাল উদ্দিন।
সুমাইয়া রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পবিত্রঝাড় ফরিঙ্গাপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিন ও সুরতন বেগম দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সন্তান।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ১৭ বছর বয়সী সমাইয়া দেখতে ৫-৬ বছরের ছোট শিশুদের মতো। বাড়ির অন্যান্য ছোট শিশুদের সঙ্গেই খেলাধুলা করে দিন কাটে তার। কখনো কখনো ঘরে এক কোণে খাটের ওপর একা একা বসে থাকে সুমাইয়া।
জানা গেছে, সুমাইয়ার জন্ম হয় ২০০৭ সালে। জন্মের পর পা বেঁকে যাওয়া ও নানা জটিলতায় অন্য ৮-১০টা শিশুর মতো শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি হয়নি তার। এমনকি ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত ঠিকমতো কথাও বলতে পারেনি। অর্থাভাবে অসহায় বাবা-মা তার কোনো চিকিৎসা না করালেও বছরখানেক আগে সে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। কয়েক মাস চিকিৎসা করার পর সে কথা বলতে পারছে।
সুমাইয়ার বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, দুই ছেলের মধ্যে একজন মারা গেছে। বড় দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। সুমাইয়া যখন প্রতিবন্ধী হয় তখন তাকে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। আমার বাড়ি ভিটে ছাড়া আর কিছু নেই। নিজেরাই ঠিকমতো চলতে পারি না। চিকিৎসা করাব কীভাবে। তার তো বিয়ে হবে না। বয়সে কিশোরী হলেও এখনো তাকে শিশুর মতো লালনপালন করতে হচ্ছে। আমরা মারা গেলে সুমাইয়ার কী গতি হবে, এ নিয়ে চিন্তিত আমরা।
পীরগাছার ইউএনও নাজমুল হক সুমন বলেন, সুমাইয়া প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ভাতার পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ থেকে তাকে সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা চেষ্টা করবো। সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ
এম২৪নিউজ/আখতার