নিউজ ডেস্ক:
গত তিন বছরে রংপুর বিভাগে সিজারিয়ান প্রসবের হার দেড়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে জাতীয়ভাবে ৪৫ শতাংশ প্রসব সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে হলেও রংপুর বিভাগে এ হার শতকরা ৪৩ ভাগ। যা ২০১৭-১৮ সালে শতকরা ২৮ ভাগ ছিল।
মঙ্গলবার সকালে রংপুর পর্যটন মোটেল মিলনায়তনে জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০২২ এর রংপুর বিভাগীয় অবহিতকরণ সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে জানানো হয়, ২০২২ সালের জরিপ অনুযায়ী সারাদেশে সিজারিয়ান প্রসবের মধ্যে ৮৩ ভাগ বেসরকারি হাসপাতালে হয়ে থাকে। এছাড়া গত তিন বছরে রংপুর বিভাগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবাদানকারীদের সহায়তায় গর্ভকালীন সেবা ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৩ শতাংশ হয়েছে এবং দক্ষ সেবাপ্রদানকারীর সহায়তায় প্রসবের হার ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৬ শতাংশ হয়েছে।
পরিবার-পরিকল্পনার দিকে থেকে রংপুর বিভাগ সব বিভাগের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। রংপুর বিভাগে ৭১ শতাংশ যে কোনো পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি এবং ৬১ শতাংশ আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট-নিপার্টের উদ্যোগে এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান।
নিপার্টের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নিপার্টের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান, রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এবিএম আবু হানিফ, পরিবার-পরিকল্পনা রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক দেওয়ান মোর্শেদ কামাল।
অনুষ্ঠানে জরিপ তথ্য তুলে ধরেন, নিপার্টের পরিচালক মোহাম্মদ আহছানুল আলম ও ড. আহমেদ এহসানুর রহমান। সেমিনারে সিজারিয়ান অপারেশন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা। এ সময় স্বাভাবিক প্রসব নিশ্চিতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেমিনারে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা, উপজেলা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, এনজিও কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এম২৪নিউজ/আখতার