সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

লেখাটি রংপুর প্রেসক্লাব ফেইসবুক আইডি থেকে নেয়া |

রংপুর প্রেসক্লাব এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক রংপুর প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলী আশরাফের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২১ সালের আজকের দিনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সাংবাদিক আলী আশরাফের মৃত্যুর এদিনে আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

সাংবাদিক আলী আশরাফ এর ইতিহাস-

✓ সাংবাদিক আলী আশরাফ ২০১৭ সালের ৮ জুন স্ট্রোক করেন। সাথে সাথে তাকে নেয়া হয় কছির উদ্দিন মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে দুই দিন পর তাকে নেয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে। তার ব্লাড প্রেসার ছাড়াও ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগ ছিল। এর পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তার নিউরো বিষয়ক অস্ত্রপাচার করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন অসুস্থতার সাথে যুদ্ধ করে তিনি আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি।

অসুস্থ হবার পূর্বে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের রংপুর প্রতিনিধি, দৈনিক বায়ান্নোর আলোর নির্বাহী সম্পাদক এবং বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রের সংবাদদাতা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

এর আগে তিনি দৈনিক আমাদের সময়ের রংপুর প্রতিনিধি, দৈনিক যুগের আলো‌ ও দৈনিক দাবানল এর নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

আলী আশরাফ রংপুর প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিকবার নির্বাচিত হন। সর্বমহলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল ঈর্ষণীয়। সাংবাদিকতা জীবনে তিনি কুড়িয়েছেন অনেক সম্মাননা, আছে অনেক অর্জনও। অসংখ্য ইতিহাস সৃষ্টিকারী লেখুনি আছে তাঁর ৪৫ বছরের সাংবাদিকতায়।

আলী আশরাফ সেইসব সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যতম, যিনি দহগ্রাম আঙ্গরপোতা ছিটমহলের বন্দীজীবনের তথ্য প্রথম পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলেন (সেই সময়কার সফরসঙ্গি মরহুম সাংবাদিক মোফাজ্জল হোসেন, সাংবাদিক মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের তথ্য)। তার লেখনির পর ছিটমহল নিয়ে অনেকেই লিখেছেন।

সাংবাদিক আলী আশরাফ, একজন আগাগোড়া সাংবাদিক ছিলেন। রংপুরের এমন কোন ক্ষেত্র নেই, আলী আশরাফ নামের এই মহান সাংবাদিককে কেউ চিনতো না, জানতো না।

তিনি একজন সফল বাবা। তাঁর বড় মেয়ে আমিনা লাবিব অমি উচ্চ শিক্ষত। বড় জামাই শামীম জামান। বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত পরিচালক ও নাট্যাভিনেতা। তাঁর ছোট মেয়ে আদিবা লাবিব বনির স্বামী কাজী শুভ। দেশের একজন বিশিষ্ট সঙ্গিত শিল্পী।

তাঁর স্ত্রী জেনিফার আলী এলি। তিনি সেই নারী যিনি ১৯৭২ সালে ১১ মে রংপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রংপুর সফরে আসলে সার্কিট হাউজে তাঁকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বারান্দার ক্ষোপ ক্ষোপ বেয়ে বেয়ে উঠে বঙ্গবন্ধুর হাতে ফুল দিয়েছিলেন।

মহান আল্লাহ্ আলী আশরাফকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন (আমিন)। লেখাটি রংপুর প্রেসক্লাব ফেইসবুক আইডি থেকে নেয়া।

এম২৪নিউজ/আখতার

Leave a Reply