নিউজ ডেস্ক:
নরসিংদী থেকে পঞ্চগড়ে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় এক তরুণী। গণধর্ষণের মামলার আসামি আপনকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-১৩ রংপুর সদর দফতরের সদস্যরা। সোমবার গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার বিকেলে র্যাব-১৩ সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিডিয়া মাহমুদ বশির আহামেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোবাইলে মিসকলের সূত্র ধরে নরসিংদী জেলার এক তরুণী পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার আব্দুল মালেকের মঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে চলা প্রেমের একপর্যায়ে মালেক ওই তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় নিয়ে আসেন।
এরপর তিনি তার বন্ধু আলমগীরের সহযোগিতায় তরুণীকে নিয়ে বোদার প্রসাদ খাওয়া এলাকায় একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যান। সে সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন আশরাফুল ও আপন নামে আরো দুই যুবক। বাড়িতে লোকজন না থাকায় তরুণী বিষয়টি বুঝতে পারলে প্রেমিক আব্দুল মালেক কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দেন।
প্রতারক প্রেমিক মালেক মেয়েটিকে একটি আমবাগানে নিয়ে তিনিসহ আপন ও আশরাফুল, আলমগীর তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে তরুণী নিজে বাদী হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর বোদা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা করেন।
মামলার দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও অপর দুই আসামি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। বিষয়টি নিয়ে র্যাব তদন্ত শুরু করলে ১৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার দুই নম্বর আসামি আপনকে গ্রেফতার করে। অপর আসামি আলমগীর হোসেনকে ধরতে র্যাব অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আপন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ
এম২৪নিউজ/আখতার