অনলাইন ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে এখন পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজের সহায়তায় উল্টো করে লঞ্চটি নদীর পূর্বপারে তীরে আনা হয়। এর আগে রাতেই পাঁচ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে লঞ্চডুবিতে ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো।
রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সামনে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। এমভি রাবিতা আল হাসান নামে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে ৫টা ৫৬ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
ঘটনার সময় নদীর তীর থেকে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এসকে-৩ নামে একটি কার্গো জাহাজ বেপরোয়া গতিতে লঞ্চের পেছনে ধাক্কা দিলে সেটি দুই ভাগ হয়ে ডুবে যায়। ঘটনার পর লঞ্চে থাকা বেশ কিছু যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও অনেকে নিখোঁজ হন।
ঘটনার পর নদীর ঘাট থেকে বেশ কিছু নৌকা ও ট্রলার গিয়ে ২৫-৩০ জনকে উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার পরপর ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ায় তাৎক্ষণিক উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
লঞ্চের যাত্রী দিপু বলেন, আমি আমার মা মহারানীকে মুন্সিগঞ্জে পৌঁছে দিতে লঞ্চে যাচ্ছিলাম। লঞ্চটি নির্মাণাধীন শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি যাওয়ার পর পেছন থেকে এসকে-৩ নামে কার্গো জাহাজটি লঞ্চ বরাবর দ্রুত গতিতে আসতে থাকে। ওই সময় লঞ্চের পেছনে থাকা যাত্রীরা হাত নেড়ে লঞ্চ বরাবর না এসে পাশ দিয়ে যেতে ইশারা করেন। কিন্তু কার্গো থেকে লঞ্চটিকে সরে যেতে বলা হয়। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই কার্গো জাহাজটি লঞ্চের পেছনে এসে ধাক্কা দিলে সেটি ভেঙে ডুবে যায়।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক (বন্দর) মোবারক হোসেন বলেন, টার্মিনাল ছেড়ে যাওয়ার আগে টার্মিনালের ভয়েস অব ডিক্লারেশন অনুযায়ী ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ
এম২৪নিউজ/আখতার