অনলাইন ডেস্ক:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। সখ্যতা গড়ে উঠলে শুরু হয় মুঠোফোনে আলাপ। একপর্যায়ে প্রেম। পরে প্রেমিকের ডাকে দেখা করতে এসে হলেন ধর্ষণের শিকার। তবে ধর্ষক অন্য কেউ নয়, তারই প্রেমিক। পরে তাকে মারধর করে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। শুধু তা-ই নয়, তার হাতে ধরে দেয়া হয় ৫০০ টাকা। কিন্তু তিনি বাড়ি না গিয়ে গেলেন থানায়, করলেন মামলা। এখন ধর্ষণ মামলার আসামি হয়ে পলাতক সেই প্রেমিক।
এমন ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের পান্নার মোড় এলাকায়। শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার হওয়া ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণী আদমদীঘি থানায় মামলা করেন। মামলায় দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
তারা হলেন- সান্তাহার পৌর শহরের পান্নার মোড় এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে রাজ (২০) ও রাজের খালা একই এলাকার ইতু বেগম (২৫)। মামলার পর থেকেই তারা পলাতক আছেন।
ভুক্তভোগী ঐ তরুণী নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জের বাসিন্দা।
জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে রাজের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় ওই নারীর। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাজ তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বগুড়ায় আসতে বলেন। রাজের কথা মতো গত বৃহস্পতিবার রাজের সঙ্গে দেখা করতে বগুড়ার সান্তাহারে আসেন তিনি। তারা ঐদিন দুপুরে সান্তাহার ফারিস্তা পার্কে দেখা করেন। একই দিন সন্ধ্যায় রাজ নিজের খালা ইতু বেগমের বাড়িতে তাকে নিয়ে ওঠেন। তারা একসঙ্গে রাতে বিরিয়ানি খান। পরে ওই তরুণীকে কোমলপানীয় পান করান রাজ। এতে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। এ সুযোগেই রাজ রাতভর তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজকে জিজ্ঞাসা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। রাজও বিষয়টি স্বীকার করেন।
মামলায় আরো বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর বিয়ের কথা তোলেন ওই তরুণী। এতে তালবাহানা শুরু করেন রাজ। পরে শুক্রবার দুপুরে তরুণী নিয়ে উপজেলার শখের পল্লী পার্কে যান রাজ ও ইতু। পার্কে নিয়ে তরুণীকে মারধর করেন তারা। পরে ভুক্তভোগী তরুণীর হাতে ৫০০ টাকা দিয়ে বাড়ি যেতে বলেন রাজ।
আদমদীঘির সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রকিব হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী তরুণী ধর্ষণের অভযোগ তুলে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর তার (তরুণী) মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে। সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ
এম২৪নিউজ/আখতার