অনলাইন ডেস্ক:
বরগুনার বেতাগীতে বিয়ের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী। উপজেলার চান্দখালি বাজার সংলগ্ন কাঠপট্টি এলাকায় অনশন করছেন তিনি।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়িতে। বৃহস্পতিবার সকালে লঞ্চে করে বরগুনায় পৌঁছান তিনি। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম মাহমুদুল হাসান। তিনি রাজধানীর উত্তরায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল প্রকৌশল বিভাগে অধ্যায়নরত।
জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে মাহমুদুলের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি বিয়ের কথা বলার পরই নানা অযুহাতে তরুণীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন মাহমুদুল। রোজার শুরুতে মাহমুদুল গ্রামের বাড়ি বরগুনায় চলে আসেন। বাড়িতে আসার পর তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়ে গত চার-পাঁচদিন ধরে মুঠোফোন বন্ধ করে রাখেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনায় এসে মাহমুদুলের বাসায় ওঠেন ওই তরুণী। কিন্ত প্রেমিকা আসার পরপরই বাসা তালা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন মাহমুদুল ও তার পরিবারের লোকজন।
অনশনরত তরুণী বলেন, আমি বাধ্য হয়ে এখানে এসেছি। মাহমুদুল আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তিন বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক। তাকে আমি সব দিয়েছি। সর্বস্ব খুইয়ে এখন নিরুপায় হয়ে এখানে এসেছি। বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে না তুললে এখানেই আত্মহত্যা করব।
শুক্রবার দুপুরে মাহমুদুল হাসানের বাড়িতে গিয়ে বাসা তালাবন্ধ দেখা যায়। পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগও করা সম্ভব হয়নি।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহিন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। ওই তরুণীর নিরাপত্তা ও আইনগত সহায়তার জন্য আমি বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেছি। বিষয়টি সমাধানে উভয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, চান্দখালি ফাঁড়ির ইনচার্জকে পাঠিয়ে তরুণীর নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তাকে আইনি সহায়তা দিয়ে পরিবারের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ
এম২৪নিউজ/আখতার