বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালো প্রেমিক, গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক:

গ্যাসের ট্যাবলেট হাতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে উঠেছিলেন প্রেমিকা। প্রেমিক রাজি না হওয়ায় এবং প্রেম অস্বীকার করায় অভিমানে ওই ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন প্রেমিকা। মঙ্গলবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত প্রেমিকার নাম পারভীন আক্তার। তিনি শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলার দক্ষিণপাড়ার শাহ্ আলীর মেয়ে। অপরদিকে প্রেমিক একই গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে নাজির হোসেন।

বুধবার সকালে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয়রা ও নিহতের স্বজনরা জানান, ছয় বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ায় আট বছরের ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন পারভীন। পরে স্থানীয় সাধুবাড়ি এলাকায় সিট কাপড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহী করতে থাকেন। এরইমধ্যে একই গ্রামের নাজির হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

বিয়ের আশ্বাসে নাজির তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পারভীন বিয়ের চাপ দিলে নাজির অপারগতা প্রকাশ করেন। বাধ্য হয়ে পারভীন বিয়ের দাবিতে গ্যাসের ট্যাবলেট নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাজিরের বাড়িতে অবস্থান নেন।

এ ঘটনায় গ্রামের মুরুব্বি ও উভয় পরিবারের সদস্যরা সমঝোতার চেষ্টা করেন। তবে প্রেমিক নাজির তাদের প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করে বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন।

এতে অভিমান করে পার্শ্ববর্তী এক চাচার বাড়িতে গিয়ে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন পারভীন। এর ফলে অসুস্থ হলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তরের চেষ্টা করা হয়। পথিমধ্যে তিনি মারা যান।

তবে শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, আট বছর বয়সি ছেলে কথা না শোনায় ও কিছু টাকা চুরি করায় ক্ষোভ ও অভিমানে ওই শারীরিক প্রতিবন্ধী বিধবা আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ

এম২৪নিউজ/আখতার

Leave a Reply