মামি-ভাগ্নের গোপন প্রেম ধরতে গিয়ে ধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক:

যশোরের শার্শায় প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষণের পেছনের গোপন রহস্য বের হতে শুরু করেছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী দীর্ঘ দিন অবৈধভাবে নিজ স্বামীর ভাগ্নের সঙ্গে মেলামেশা করে আসছে বলে অভিযোগ রযেছে। এছাড়া ধর্ষকরা প্রেমিক ভাগ্নেকে মামির সঙ্গে মেলামেশা করার সময় হাতেনাতে ধরতে গিয়ে ধর্ষণ করে ফেঁসে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

গভীর রাতে যখন মামির ঘরে ভাগনে তখন ওই গ্রামের ইসরাফিল ও তুহিন ঘরের দরজা খুলতে বলে। এ সময় ভাগনের মা বেগম ওই দুইজনের হাতে পায়ে ধরে। এরপর তারা ভুক্তভোগীকে কিছু বলবে না বলে ভাগনের মায়ের কাছে টাকা চায়। তিনি দিতে অস্বীকার করলে ঘরের দরজা ভাঙার হুমকি দিলে ভুক্তভোগী ওই নারী দরজা খুলে দিলে ভাগনে পালিয়ে যায়। এরপর ঘরের পেছনে নিয়ে ওই নারীকে ইসরাফিল ধর্ষণ করে।

ভাগ্নের বলেন, রাত ১টার দিকে ইসরাফিল ও তুহিন এসে তার ভাইয়ের বউ এর দরজা খুলতে বলে। দরজা খুলতে কেন হবে বললে আমাকে তারা মারধর করে ও টাকা চায়। তারপর তুহিন আমাকে ধরে রাখে আর ইসরাফিল তার ভাই বউকে ধরে নিয়ে যায় পাশের একটি কলা বাগানে। সেখানে তার সঙ্গে কি হয়েছে, সে বলতে পারে না।

তবে তার ভাইয়ের বউ বলেছে তাকে ধর্ষণ করেছে। তার ছেলে ওই ঘরে তার মামির সঙ্গে অবৈধ মেলা মেশা করেছে বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন তার মামা বাড়িতে না থাকায় মামির বাজার সদায়সহ তাকে দেখাশোনা করে। রাতে আপনি কেন চিৎকার করেননি এবং আপনার কাছে কেন টাকা চেয়েছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি।

এদিকে ভাগ্নের চাচাতো মামা বলেন, রাতে যখন এ রকম গুঞ্জন হচ্ছে তখন আমি আমার চাচাতো বোনের কাছে জানতে চাই কি হয়েছে, তখন বোন বলে ওই গাঁজা টাজা যারা খায় তারা এ পথ দিয়ে গেছে। সকালে শুনি ইসরাফিল তার ভাইয়ের বউকে ধর্ষণ করেছে এবং তুহিন সহযোগিতা করেছে।

তুহিন এর মা রাহিমা বেগম বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে ভাগ্নের সঙ্গে তার মামির সম্পর্ক। আমার ঘরের পাশে তাদের ঘর। বিষয়টি অনেকেই জানে। তাদের অবৈধ মেলা মেশা হয়ত ধরতে গিয়ে ইসরাফিল এর সঙ্গে কিছু ঘটে থাকতে পারে। তবে মেডিকেল রিপোর্ট আসলে সব জানা যাবে।

ভুক্তভোগী নারী থানায় ইসরাফিল এর নামে ধর্ষণ ও তুহিনের নামে সহযোগিতার অভিযোগ করেছে।

একই গ্রামের ফজলুর রহমান বলেন, ইসরাফিলও ভালো মানুষ না। সে এ গ্রামে নারীদের নির্যাতন, চুরি ছিনতাই করে বেড়ায়।

শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম বলেন, ওই নারীকে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে সব জানা যাবে। তবে আটককৃত দুইজনকে যশোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ

এম২৪নিউজ/আখতার

Leave a Reply