অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে বর্তমানে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭৫ জন। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ৩২২ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসটি।
উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭১ হাজার ১৩১। মৃত্যু হয়েছে ৯৩ হাজার ৫৫৮ জনের। আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮ হাজার ৭০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৯৭২ জনের। তৃতীয় স্থানে থাকা স্পেনে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। প্রাণ হারিয়েছে ২৭ হাজার ৭৭৮ জন।
এছাড়া চতুর্থ স্থানে থাকা ব্রাজিলে করোনায় ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৮ জন আক্রান্ত ও ১৭ হাজার ৯৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৩৫ হাজার ৩৪১ জন।
উৎপত্তিস্থল চীনে মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৬৩৪। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’ অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনি বলেছেন, করোনা নিয়ে চীনের স্বচ্ছতার বিষয়টি সর্বোচ্চ উদ্বেগে পরিণত হয়েছে।
করোনা মহামারির ফলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে আফ্রিকাসহ বেশ কিছু স্বল্পোন্নত দেশ। বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় এ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৭-০৮ সালের দিকে খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে যে ধরনের সহিংস পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। বিশ্ব চাইলে আসন্ন এ সংকট ঠেকাতে পারে, তবে তা করার সময় ফুরিয়ে আসছে। খুব দ্রুতই সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা (এফএও)-এর জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরিচালক ডমিনিক বারজিওন বলেছেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তাজনিত দিক থেকে কিছু জায়গা দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অভাবের মাত্রাটা এমনিতেই অনেক বেশি। এ সময়ে আরেকটি আঘাত তারা সহ্য করতে পারবে না। এ নিয়ে আমরা খুব উদ্বেগে আছি।
সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ।