নূরুল ইসলাম বরিন্দী ।।
(দুই) ইসলামের ইতিহাসবিদদের সর্বসম্মত অভিমত অনুযায়ী ওহুদ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলো তৃতীয় হিজরীর শাওয়াল মাসে। এ যুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিলো আসলে বদর যুদ্ধে কুরাইশদের শোচনীয়ভাবে পরাজয়ের পরিণতিতে। প্রতিশোধের জন্য মক্কার সুসজ্জিত ৩ হাজার যোদ্ধার দল মদিনা আক্রমণের উদ্দেশ্যে মদিনার উপকণ্ঠে ওহুদ নামক পাহাড়ের পাদদেশে সমবেত হয়। মহানবী (সাঃ) মাত্র ১ হাজার সাহাবী নিয়ে ওহুদের দিকে রওনা দিলে পথিমধ্যে মদিনার ৩ শ ইহুদি ও মুনাফিক দলছুট হয়ে কেটে পড়লে বাকি ৭ শ সাহাবীকে নিয়েই রাসুল (সাঃ) জামাতবদ্ধ হন। অসম যুদ্ধ হলেও তুমুল এ লড়াইয়ে মহানবীর অসামান্য রণকৌশল আর অকুতভয় মুসলিম সেনাদের ইমানী শক্তির বলে যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালাতে থাকে কুরাইশ বাহিনী। বিজয় অবধারিত জেনে মুসলিম সেনারা নিজেদেরকে আশংকামুক্ত ভেবে উল্লসিত হয়ে গনিমতের মালামাল নিয়ে বিশৃংখলার সৃষ্টি করতে থাকে। আর এটাই বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় মুসলমানদের। সুযোগ-সন্ধানী কুরাইশরা পাল্টা হামলা করে বসে। ছত্রভঙ্গ মুসলিম বাহিনীকে শৃংখলায় আনতে ব্যর্থ হয়ে মহানবী (সাঃ) মুষ্টিমেয় কয়েকজন অসীম সাহসী সাহাবীর বেষ্টনির মধ্যে শত্রুর তীরের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাঁর দুটি দন্ত মুবারক উৎপাটিত হয়। শেষ পর্যন্ত মহানবীর (সাঃ) জিহাদী আহ্ববানে সাহাবীরা ঘুরে দাঁড়িয়ে যুদ্ধের মোড় পাল্টিয়ে দিতে সক্ষম হয়। কুরাইশদের পশ্চাদ্ধাবন করতে থাকলে তারা দ্রুত নাগালের বাইরে চলে যায়। দৃশ্যত পরাজয় মনে হলেও ঐতিহাসিকগণ ‘গাজওয়ায়ে ওহুদ’-কে মুসলমানদের বিজয় হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন।
ওহুদ যুদ্ধের ১ বছর পর পুনরায় যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক যোদ্ধা বদর ময়দানের দিকে অগ্রসর হয়। মহানবী (সাঃ) সাহাবীদের নিয়ে বদর প্রান্তরে পৌঁছে শত্রুপক্ষের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। ৮ দিন অবস্থানের পর খবর পান আবু সুফিয়ান ভীত হয়ে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেছে। অতঃপর রাসুল (সাঃ) মদিনায় ফিরে আসেন। ইতিহাসে একে বলা হয়ে থাকে ‘গাজওয়ায়ে বদর (দ্বিতীয়)’।
মদিনায় মহানবী (সাঃ) ক্ষমতা সুসংহত এবং নও-মুসলমানদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকলে সেখানকার মুশরিকরা বিশেষ করে ইহুদি সম্প্রদায় শংকিত হয়ে পড়ে। তারা মক্কার কুরাইশদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিশাল এক যৌথবাহিনী গড়ে তুলে মুসলমানদের ওপর হামলা চালায়। এ যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ৫ম হিজরীর ১০ মুহররম। ইতিহাসে একে বলা হয় ‘গাজওয়ায়ে জাতুর রুকা’। কিছুদিন পর ‘গাজওয়ায়ে আহজাব’ এবং ‘গাজওয়ায়ে বনু মুস্তারিক’ নামে আরও দুটি ছোটখাটো যুদ্ধ সংঘটিত হয়। আবার ৫ম হিজরীর রবিউল আউয়াল মাসে ওই একই বাহিনীর সঙ্গে মুসলমানদের যে যুদ্ধটি হয় সেটি ‘গাজওয়ায়ে দামাতুল জিন্দাল’ নামে অভিহিত।
৫ম হিজরীর জিলকদ মাসে সারা আরবের কুরাইশ গোত্রের ১০ হাজার সুসজ্জিত যোদ্ধা মক্কা থেকে ২৭০ মেইল পথ অতিক্রম করে মদিনা আক্রমণের জন্য এগিয়ে আসে। এটা ছিলো মহানবী (সাঃ) ও মদিনাবাসীর কাছে মহাবিপদ সংকেত। কুরাইশরা মদিনা ঘিরে ফেললে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিশ্বাসঘাতক ইহুদিরাও। মদিনা শহরের অবস্থান ছিলো তিনদিক পাহাড় বেষ্টিত। বাকি একভাগে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে পরিখা খনন করা হয়। এতে রাসুল (সাঃ) সক্রিয়ভাবে অংশ নেন । যুদ্ধ চলাকালীন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর মরুঝড় শুরু হলে শত্রুরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। একে ‘গাজওয়ায়ে খন্দক’ বা পরিখার যুদ্ধ বলা হয়ে থাকে।
হিজরী ৬ সালের জিলকদ মাসে মহানবী (সাঃ) ওমরা হজ্জ পালনের জন্য বিপুলসংখ্যক সাহাবী নিয়ে মক্কা থেকে ১০ মেইল দূরে হুদাইবিয়া নামক স্থানে শিবির স্থাপন করেন। এ খবর পেয়ে মক্কার কুরাইশরা আতংকিত হয়ে পড়ে। কিন্তু মহানবী (সাঃ) হজরত ওসমানকে দূত হিসেবে প্রেরণ করে প্রস্তাব দেন যে, এবারে শুধু ওমরা হজ্জ পালনার্থ মক্কায় ৩ দিন অবস্থান করে মুসলমানরা মদিনায় ফিরে যাবে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, কুরাইশরা হজরত ওসমানকে হত্যা করেছে। এ খবর শুনে সাহাবীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আর মহানবী (সাঃ) একটি বাবলা গাছের নিচে বসে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সাহাবীদের হাতে হাত রেখে বাইয়াত গ্রহণ করান। ইতিহাসে একে বলা হয়ে থাকে ‘বাইয়াতে রিদওয়ান’। এ বিষয়ে পবিত্র কুরআনেও বিশদ উল্লেখ আছে। যা হোক, পরে কুরাইশরা হজরত ওসমানকে ফেরত পাঠিয়ে ১০ বছর মেয়াদি এক সন্ধির শর্ত আরোপ করে। তাতে বলা হয়ঃ “(ক) এবারে মুসলমানরা মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে না। (খ) আগামী বছর মক্কায় এলে কোষবদ্ধ তরবারি ছাড়া মুসলমানদের সঙ্গে অন্য কোনো যুদ্ধাস্ত্র থাকতে পারবে না। (গ) ফেরার সময় মক্কার কোনো লোককে সঙ্গে নিতে পারবে না। (ঘ) কোনো মক্কাবাসীকে মদিনায় আশ্রয় দেয়া যাবে না ইত্যাদি”।
মুসলমানদের স্বার্থের পরিপন্থী এবং প্রকাশ্যে পরাজয়মূলক এ রকম শর্তাবলি আরোপিত হলে সাহাবিগণ এ অপমানজনক সন্ধির বিরোধিতা করলেও মহানবী (সাঃ) দ্বিধাহীন চিত্তে তা মেনে নেন। আসলে এই হুদাইবিয়ার সন্ধিটি ছিলো রাসুলের (সাঃ) রাজনৈতিক দূরদর্শিতার সুদূরপ্রসারী ফসল। এই সন্ধিতে যে মুসলমানদের আগামীদিনের কল্যাণ নিহিত ছিলো তা তাৎক্ষণিকভাবে অনুধাবন করতে পারেননি সাহাবিগণ। এ সম্পর্কে আল্লাহর তরফ থেকে কুরআনে সুরা ‘ফাতাহ’ নাজিল হলে হুদাইবিয়ার সন্ধি যে রাসুল (সাঃ) তথা মুসলমানদের সকল বিজয়ের মাইলফলক তা প্রমাণিত হয়।
এর পরের গাজওয়াটি সংঘটিত হয় খাইবারে। ইহুদিদের সঙ্গে মহানবীর (সাঃ) এটি ছিলো সবচেয়ে বড়ো অভিযান। খাইবার ইহুদিদের শক্ত ধাঁটি বলে বিবেচিত এবং এটি অবরোধে অনেকদিন সময় ক্ষেপন হলেও শেষাবধি সম্পূর্ণ্রূপে পর্যুদস্ত হয় ইহুদিরা। ইহুদিদের সঙ্গে এ সময় মহানবীর আরও একটি ছোটখাটো যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেটিকে ইতিহাসে উল্লেখ করা হয় ‘গাজওয়ায়ে ফিদাক’ নামে। এ যুদ্ধেও ইহুদিরা শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করে।
৮ম হিজ্রীর মাঝামাঝি সময়ে বসরার গভর্নরকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে মহানবী (সাঃ) একজন দূত প্রেরণ করেরন। কিন্তু সে দূতকে নির্মম্ভাবে হত্যা করা হয়। আর এরি ফলশ্রুতি হিসেবে সংঘটিত হয় ‘গাজওয়ায়ে মুতা’ বা মুতার যুদ্ধ। স্থানটি ছিলো সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা। দেড় লাখ রোমক বাহিনীর সঙ্গে মাত্র তিন হাজার মুসলমানের এ অসম যুদ্ধেও পরাজয় বরণ করতে হয় রোমক বাহিনীকে। এ যুদ্ধে রাসুল (সাঃ) নিজে অংশ নিতে না পারলেও তাঁর বাহিনীকে মদিনার উপকন্ঠ পর্যন্ত এসে এই দোয়া ও বাণী দিয়ে বিদায় জানিয়েছিলেনঃ “তোমরা নারী, শিশু ও অন্ধদের হত্যা করবে না। কোনো আবাসস্থল ধ্বংস করবে না। এমনকি কোনো বৃক্ষও কর্তন করবে না। আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করুন”।
ইসলামের ইতিহাসে যেটিকে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা হিসেবে অভিহিত করা হয় তা হলো মহানবীর (সাঃ) বিনাযুদ্ধে, বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয়। এতে তাঁর সর্বোৎকৃষ্ট প্রাজ্ঞতা, বিচক্ষণতা, মহানুভবতা ও দূরদর্শিতার পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছিলো বলে সিরাতকারদের অভিমত। অভিনব পদ্ধতিতে সৈন্যদের কাতারবন্দি করে ব্যুহ রচনা, মক্কায় প্রবেশে অনাক্রমণ অথচ ভীতিকর দৃশ্যের অবতারণা করা, যুদ্ধে অভূতপূর্ব কৌশল প্রয়োগ প্রভৃতি দৃষ্টে ঐতিহাসিকগণ একবাক্যে স্বীকার করেছেন অন্যান্য নবী-রাসুলের মতো মহানবী (সাঃ) শুধু একজন ধর্ম প্রচারকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত দক্ষ শাসকও, যাঁর মধ্যে রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনানায়কের সকল গুণাবলির সমন্বয় ঘটেছিলো। ৮ম হিজরী সালে কুরাইশরা হুদাইবিয়ার সন্ধি ভঙ্গ করলে মহানবী (সাঃ) মক্কাভিযানের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ১০ রমজান ১০ হাজার সাহাবীর বিশাল এক বাহিনী নিয়ে মদিনা ত্যাগ করে মক্কার দিকে রওনা হয়ে যান। সাহাবীদের প্রতি কড়া নির্দেশ ছিলোঃ “একান্ত বাধ্য না হলে কাউকে আক্রমণ করা যাবে না, কোনো প্রকার রক্তপাত থেকে বিরত থাকতে হবে, যে ব্যক্তি কাবাঘরে আশ্রয় নেবে সে নিরাপদ, যে নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে থাকবে সেও নিরাপদ।”
এ পর্যায়ে প্রচুর শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও মহানবী (সাঃ) নিজ জন্মভূমির শত্রুদের সেদিন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। এটি তাঁর মহানুভবতার এক উজ্জ্বল অনন্য দৃষ্টান্ত। মক্কা বিজয়ের পর মক্কাসহ আরবের অধিকাংশ গোত্র ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণের জন্য দলে দলে এগিয়ে আসতে থাকে। এ সময় খবর আসে বনু হাওয়াজেন ও বনু সাকিফ গোত্র দুটি মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মক্কার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে তায়েফের কাছাকাছি পাহাড়গুলোতে এদের আবাসস্থল। মহানবী (সাঃ) সাহাবীদের নিয়ে রওনা দিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে হুনায়েন নামক স্থানে পৌঁছলে শ্ত্রুদ্বারা অতর্কিত আক্রান্ত হন। পাহাড়ের ওপরে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক স্থানে থেকে হাওয়াজেনদের আকস্মিক হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়ে মুসলিম বাহিনী। তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাতে থাকলে মহানবী (সাঃ) মুষ্টিমেয় ঘনিষ্ঠ সাহাবীর পাহারার মধ্য থেকে এ দৃশ্য দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন। এরপর তিনি নিজের হাতে একমুঠো পাথরকুচি শত্রুদের প্রতি নিক্ষেপ করে পলায়নরত মুসলিম সেনাদের উদ্দেশে বলতে থাকেনঃ “এবার যুদ্ধ পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। আল্লাহ তাঁর রাসুলকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেননি। শত্রুদের চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে।”—
মহানবীর (সাঃ) এমন ওজস্বী আহ্বান শুনে পলায়নপর মুসলিম সেনারা ঘুরে দাঁড়িয়ে ‘জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’ জ্ঞান করে দ্বিগুণ উৎসাহে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শত্রুরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় এবং মুসলমানরা বিজয় লাভ করে। এতে স্পষ্টত প্রমাণ মেলে বদর যুদ্ধের মতো হুনায়েনেও আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সাহায্য এসেছিলো। হুনায়েনে পরাজিত হাওয়াজেনরা পালিয়ে তায়েফের বনু সাফিক গোত্রের কাছে আশ্রয় নেয়। তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে মহানবী (সাঃ) তায়েফ অবরোধ করেন। পরে অবশ্য যুদ্ধের কৌশলগত কারণে অবরোধ তুলে নিয়ে ওমরাও হজ্জ পালনের জন্য তাঁর বাহিনী নিয়ে মক্কায় ফিরে যান।
মদিনায় রিসালাতের পূর্ণ কর্তৃত্ব কায়েম হয়ে গেলে মহানবী (সাঃ) ইসলাম প্রচার-প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন। দিকে দিকে ইসলাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এ সময় সংবাদ আসে মুতার যুদ্ধে পরাজিত রোমকরা পুনরায় যুদ্ধের জন্য মদিনা থেকে প্রায় ৩ শ মাইল দূরে তাবুক নামক স্থানে বিপুলসংখ্যক সৈন্য সমাবেশ করেছে। কোনো দ্বিরুক্তি না করে জিহাদ এবং শত্রুর মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেন রাসুল (সাঃ)। সময়টা ছিলো ৯ম হিজরীর রজব মাস। তখন মদিনায় চলছিলো দুর্ভিক্ষের কাল। কিন্তু তা সত্ত্বেও মহানবী (সাঃ) ৩০ হাজার সাহাবীর এক বিশাল বাহিনী নিয়ে রওনা দেন তাবুক অভিমুখে। এই যাত্রাপথে রাসুলের (সাঃ) প্রিয় বাহন উট ‘কাছওয়া’ হারিয়ে গেলে তিনি ওহির মাধ্যমে তার সন্ধান লাভ করেন। মহানবীর (সাঃ) নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনীর অগ্রাভিযানের সংবাদ পেয়ে রোমক বাহিনী তাবুক থেকে দ্রুত সরে পড়ে। তাবুকে ১৫/২০ দিন অপেক্ষা করার পর মহানবী (সাঃ) তাঁর বাহিনী নিয়ে মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন। আর এই তাবুক অভিযানই ছিলো রাসুলের (সাঃ) জীবনের শেষ যুদ্ধাভিযান। (সমাপ্ত)
নূরুল ইসলাম বরিন্দী, Email: nibarindi@gmail.com