স্টাফ রিপোর্টার, মিঠাপুকুর (রংপুর):
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ও চিকিৎসকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারীর নাম মোর্শেদা বেগম (২৮)। তিনি উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের ইকবাল হোসেনের স্ত্রী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও থানা পুুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন নামে এক যুবক গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় একটি ওষুধ কোম্পানীতে চাকরি করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৪ বছরের একজন ছেলে সন্তান রয়েছে।
কিছুদিন আগে মোর্শেদার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কালিয়াকৈরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
ইকবাল হোসেন রাতেই এম্বুলেন্সে করে স্ত্রীর মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশটি মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কাগজপত্রসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য পাঠায়।
গতকাল বুধবার সকাল ১০ টার দিকে স্বজনেরা এম্বুলেন্সে করে মরদেহ মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ও চিকিৎসকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। আশপাশের এলাকায়ও আতঙ্ক তৈরী হয়। করোনাভাইরাসে মোর্শেদা মারা গেছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়।
মোর্শেদার স্বামীর সাথে কথা বললে তিনি আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ভাই, এতো হয়রানী আর সহ্য হচ্ছেনা। তার চেয়ে রবং আমাকে গুলি করে মেরে ফেলা হোক। আমার স্ত্রী মারা গেছে, আর আমাকে এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প. প কর্মকর্তা ডা. আবদুল হাকিম বলেন, কর্মস্থল গাজীপুর এলাকায় ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। লাশ এখানে নিয়ে এসেছে। নমুনা সংগ্রহ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এম২৪নিউজ/আখতার