মিঠাপুকুরে মন্দিরের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার:

মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ীতে মন্দিরের জমি দান করার প্রেক্ষিতে দাতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জমিদাতা অরুন কুমার রায়। শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারী নিয়মনীতি মেনে জমি দান করার কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি শঠিবাড়ী হরিপুর মৌজার বর্তমান ১১৮৭ এবং সাবেক ১৬৪১দাগের ২৩শতকের মধ্যে ১২শতক, ১২ শতকের মধ্যে ৪ অংশের এক অংশ ৩ শতক জমির মালিক আমি। ১৯৪০ এবং ১৯৬২সালের রেকর্ডমুলে উত্তরাধিকার সুত্রে মালিক হিসাবে আমি মন্দিরের নামে উক্ত ৩শতক জমি দান করেছি। মিঠাপুকুর সাব-রেজিষ্টার অফিস থেকে এ দলিলটি সম্পাদিত হয়েছে। একারনে আমি ভুয়া দাতা হওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা।

তিনি আরও বলেন, দলিলের সময় যে কাগজপত্র প্রদান করা হয়েছে, তা সঠিক না হলে সাব-রেজিষ্টার কোনভাবেও দলিলটি সম্পাদন করতেন না। তাই কাগজপত্র ভুয়া বলে হরেন্দ্রনাথ সাহা যে অপপ্রচার চালাচ্ছেন সেটিও উদ্দেশ্য প্রনোদিত দুরভিসন্ধিমুলক। দীর্ঘ ৩৫/৪০ বছর থেকে যে মন্দিরে এলাকাবাসী পুজা-অর্চনা করে আসছেন এবং সরকারী বেসরকারী অনুদানে যে মন্দির চলমান সেই মন্দির কখনো পারিবারিক মন্দির হতে পারে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।

হরেন্দ্রনাথ সাহা বাড়ী নির্মানকালে মন্দিরের পশ্চিমাংশে মুলগেট নির্মান ও ছাদ ঢালাইয়ের মাধ্যমে মন্দিরের জায়গা বেদখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। অরুন কুমার রায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই বিষয়ে সুষ্ঠ সমাধানের জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শঠিবাড়ী হরিপুর গৌর গোবিন্দ মন্দির কমিটির সভাপতি অনুকুল চন্দ্র বর্মন, সম্পাদক দিলীপ চন্দ্র বর্মন, শিক্ষক প্রভাত চন্দ্র রায়, তপন চন্দ্র রায়সহ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ।

এম২৪নিউজ/আখতার